ড্রোন, মিসাইলে ইসরায়েলের আকাশ দখলে নিচ্ছে ইরান, তেল আবিবে আতঙ্ক

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আবারও ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান, যা ইসরায়েলের হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে। গতাকাল রোববার (১৫ জুন) রাত থেকে এই নতুন হামলার ধাক্কায় ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর ইরনার।
ইসরায়েলি সেন্সরশিপ কঠোর থাকা সত্ত্বেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার ভিডিওচিত্র। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমসের একটি স্থাপনা এবং বেঞ্জুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর কিছু সময় পরই ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তারা জানিয়েছে, এই হামলা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান ‘শাস্তিমূলক প্রতিরোধ অভিযানের’ অংশ।
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার দুই সহকর্মী হাসান মোহাক্কেক ও মোহসেন বাকেরি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইআরজিসি। তারা বলছে, এ ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের গোয়েন্দা কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে আঘাত হানা হচ্ছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম আরও জানায়, ইয়েমেন থেকেও দখলকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ভোরে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানসহ কয়েকটি শহরে ভয়াবহ হামলা চালায়। আবাসিক এলাকায় হামলায় নিহত হন অনেক সাধারণ মানুষ এবং ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারাও প্রাণ হারান।
ঘটনার পরপরই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি নতুন সামরিক কমান্ডার নিয়োগ দেন এবং বলেন, “ইসরায়েলের জন্য দিনগুলো অন্ধকার হতে চলেছে।”

তার বক্তব্যের পরপরই ইরান তেল আবিব, জেরুজালেম ও হাইফাসহ ইসরায়েলের প্রধান শহরগুলোতে পাল্টা হামলা চালায়। ইসরায়েলি নাগরিকদের অনেকে এখন বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে পুরো দিন কাটাচ্ছেন, ফলে জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যতদিন প্রয়োজন এই প্রতিরোধমূলক অভিযান চলবে। যুদ্ধ বন্ধের কোনো ইঙ্গিত এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।