ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিতে মনোনয়ন!

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিতে মনোনয়ন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন একজন মার্কিন আইনপ্রণেতা। খবর ফক্স নিউজের।
নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিকে পাঠানো এক চিঠিতে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা বাডি কার্টার লেখেন, ‘ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের অবসানে ট্রাম্পের অসাধারণ ও ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে।’
কার্টার তার চিঠিতে লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রভাবে দ্রুত একটি চুক্তিতে পৌঁছানো গেছে। এক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা অনেকেই অসম্ভব বলে মনে করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নস্যাতে সাহসী ও নিষ্পত্তিমূলক পদক্ষেপও নিয়েছেন।’
রিপাবলিকান এই আইনপ্রণেতা লেখেন, ‘এই সংকটের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের নেতৃত্ব সেই আদর্শেরই উদাহরণ, যা নোবেল শান্তি পুরস্কার (কমিটি) স্বীকৃতি দিতে চায়, আর তা হলো শান্তির সাধনা, যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রীতির উন্নয়ন। ঐতিহাসিক শত্রুতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত ওই অঞ্চলে এ ধরনের অগ্রগতির জন্য সাহস এবং স্পষ্টতা উভয়েরই প্রয়োজন হয়।’
‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উভয়ই প্রদর্শন করেছেন, বিশ্বকে আশার এক বিরল আভাস দিয়েছেন। এই কারণে, আমি সম্মানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করতে এই মনোনয়ন জমা দিচ্ছি’, চিঠিতে পরিশেষে উল্লেখ করেন কার্টার।
ট্রাম্পকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়, যদিও তিনি এখনও পুরস্কার জিততে পারেননি। ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান প্রতিনিধি ড্যারেল ইসা এ বছরের শুরুতে ট্রাম্পকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, তার ২০২৪ সালের নির্বাচনি জয় বিশ্ব শান্তির ওপর ‘আশ্চর্যজনকভাবে কার্যকর প্রভাব’ ফেলেছে।

নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য এখন পর্যন্ত ৩৩৮ জন প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন।