মাঝ আকাশে প্লেনে প্রাণ গেল ক্রু সদস্যের, জরুরি অবতরণ

জেদ্দা থেকে বৃহস্পতিবার ছেড়ে আসা সৌদি আরবের একটি ফ্লাইটে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। মাঝ আকাশে হঠাৎ একজন ক্রু সদস্য শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হন এবং একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়েছে। খবর খালিজ টাইমসের।
লন্ডনগামী সৌদিয়া এয়ারলাইনসের এসভি১১৯ ফ্লাইটটি জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য কায়রোতে জরুরি অবতরণ করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ফ্লাইটের কেবিন ম্যানেজার মোহসেন বিন সাঈদ আলজাহরানিকে বাঁচানো যায়নি, সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সৌদির উড়োজাহাজ সংস্থাটি তাদের কর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এক্সে এক পোস্টে লিখেছে, ‘সহকর্মী ক্রু সদস্য ও চিকিৎসকদের তাৎক্ষণিক ও সাহসী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
সৌদিয়া এয়ারলাইনস ওই পোস্টে আরও লেখে, ‘এটি হৃদয়বিদারক মুহূর্ত। আমরা আমাদের সবচেয়ে নিবেদিতপ্রাণ সদস্যদের একজনকে হারিয়েছি। আলজাহরানি ছিলেন প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও শৃঙ্খলা পরিপালনে এক উজ্জ্বল উদাহরণ, তার সততা, পেশাদারিত্ব ও নৈতকতার জন্য তিনি সহকর্মীদের মাঝে প্রশংসিত ছিলেন।’
সৌদিয়া প্রয়াত কেবিন ম্যানেজারের পরিবার ও তার সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, তারা আলজাহরানির পরিবার এবং তার মৃত্যুতে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সৌদিয়া কর্তৃপক্ষ এক্সে আরও লেখেন, ‘পরিস্থিতি পরিচালনা এবং ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে যাত্রা অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিমান ক্রুদের অসাধারণ সাহস এবং পেশাদারিত্বের প্রশংসা করছি।’ একইসঙ্গে এই কঠিন সময়ে যাত্রীদের বোঝাপড়া ও সহযোগিতার জন্য উড়োজাহাজ সংস্থাটি তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।

মাঝ আকাশে হঠাৎ মৃত্যুর ফলে প্রায়ই ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তন এবং জরুরি অবতরণের ঘটনা ঘটে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তুর্কি এয়ারলাইনসের একজন পাইলট মাঝ আকাশে মারা যান, যার ফলে তুর্কি জাতীয় বিমান সংস্থাটি নিউইয়র্কে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
এ ছাড়া ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুবাই থেকে ঢাকাগামী ফ্লাই দুবাইয়ের একটি ফ্লাইট করাচিতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, কারণ যাত্রাপথে একজন যাত্রী মারা যান।