যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ ভিসায় ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ডের পরিকল্পনা

একটি নতুন পাইলট প্রোগ্রাম চালু করার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র, যার আওতায় কিছু দেশের ব্যবসা ও পর্যটন ভিসার আবেদনকারীদের ১৫ হাজার ডলার (প্রায় ১৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা) পর্যন্ত বন্ড জমা দিতে হতে পারে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে অনেকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। খবর সিএনএনের।
আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত একটি নোটিশে এই প্রস্তাবের বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষামূলক প্রোগ্রামটি ১২ মাস ধরে চলবে। যেসব দেশের নাগরিকরা ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের বেশি থেকে যান (ওভারস্টে) এবং যাদের দেশের নথিপত্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল, তাদের জন্য এই নিয়ম চালু করা হতে পারে।
এই প্রোগ্রামের আওতায় আবেদনকারীদের ৫ হাজার, ১০ হাজার বা ১৫ হাজার ডলারের বন্ড জমা দিতে বলা হতে পারে।
গত সপ্তাহে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করেছিল, অনেক ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনকারীকে এখন আবার সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে হবে, যা আগে প্রয়োজন ছিল না। এছাড়া, ভিসা ডাইভারসিটি লটারি প্রোগ্রামের আবেদনকারীদের জন্য নিজ দেশের বৈধ পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৪ আগস্ট) ফেডারেল রেজিস্টার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নোটিশ অনুযায়ী, পাইলট প্রোগ্রামটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। এতে বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি যদি ভিসার শর্ত মেনে না চলেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে যেন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য এই প্রোগ্রামটি জরুরি।

তবে ভিসা মুক্ত প্রোগ্রামের আওতায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য এই বন্ড প্রযোজ্য হবে না। এই প্রোগ্রামে থাকা ৪২টি দেশের বেশিরভাগই ইউরোপের। এছাড়া এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য অঞ্চলের কিছু দেশও আছে।
অতীতেও ভিসা বন্ডের প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। স্টেট ডিপার্টমেন্ট সাধারণত এই ধরনের বন্ডের বিপক্ষে ছিল। কারণ এতে আবেদন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যায় এবং জনমনে ভুল ধারণার সৃষ্টি হতে পারে। তবে এবার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।