তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় সফর পাকিস্তান সেনাপ্রধানের

গত তিন মাসের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয়বারের মাতো সফরে গেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অফ আর্মি স্টাফ ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। সেখানে তিনি উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি পাকিস্তানি প্রবাসীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন। আজ রোববার (১০ আগস্ট) দেশটির সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা (আইএসপিআর) এই তথ্য জানিয়েছে। খবর ডনের।
এটি অল্প সময়ের মধ্যে মুনিরের দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্র সফর। এর আগে গত জুনে পাঁচ দিনের সফরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছিলেন। এর আগে কোনো কর্মরত সেনাপ্রধান সরাসরি কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাননি। সেই সফরে ফিল্ড মার্শাল মুনির ওয়াশিংটনের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি বৃহত্তর, বহুমাত্রিক সম্পর্কের অপার সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়েছিলেন।

আজ আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসিম মুনির টাম্পা শহরে বিদায়ী কমান্ডার ইউনাইটেড স্টেটস সেন্ট্রাল কমান্ড জেনারেল মাইকেল ই. কুরিলার অবসর অনুষ্ঠানে এবং অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপারের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সেনাপ্রধান মুনির জেনারেল কুরিলার অনুকরণীয় নেতৃত্ব এবং দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা জোরদার করতে তার অবদানের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি অ্যাডমিরাল কুপারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আস্থা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশের অভিন্ন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

জুনে জেনারেল কুরিলা সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তানকে একটি ‘অসাধারণ অংশীদার’ হিসেবে প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বেলুচিস্তানে এবং ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা পারস্পরিক পেশাগত আগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। মুনির জেনারেল কেইনকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণও জানান।

আইএসপিআর আরও জানায়, এই বৈঠকের ফাঁকে সেনাপ্রধান অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
এছাড়া পাকিস্তানি প্রবাসীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় সেনাপ্রধান তাদের পাকিস্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ওপর আস্থা রাখার এবং বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানান। প্রবাসীরাও পাকিস্তানের অগ্রগতি ও উন্নয়নে সহায়তার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।