কার্ক হত্যাকাণ্ড
তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে জবাবদিহির মুখে এফবিআই প্রধান

রক্ষণশীল ভাষ্যকার চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গাফিলতি ও ভুল তথ্য প্রকাশের ঘটনায় এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেলকে মার্কিন কংগ্রেসের কড়া জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ ওঠার পর প্যাটেল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ও বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সিনেট ও হাউসের বিচার বিভাগীয় কমিটির সামনে হাজির হবেন। সেখানে শুধু কার্ক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নয়, বরং রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অভ্যন্তরীণ বিভাজনের মধ্যেও এফবিআইকে স্থিতিশীল রাখার সামর্থ্য নিয়েও তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। খবর আল জাজিরার।
কার্ক হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্যাটেল এক্সে (টুইটার) লিখেছিলেন, “চার্লি কার্ককে হত্যাকারী সন্দেহভাজন এখন এফবিআই হেফাজতে।” কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত হয়। পরে তিনি জানাতে বাধ্য হন যে আটককৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ভুল তথ্য রক্ষণশীল মহলেই ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
রক্ষণশীল থিঙ্কট্যাঙ্ক ম্যানহাটন ইনস্টিটিউটের ফেলো ক্রিস্টোফার এফ রুফো লেখেন, “কাশ প্যাটেল এফবিআই পরিচালনার যোগ্য কি না, রিপাবলিকানদের এখন তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। তিনি গত কয়েক দিনে ভয়াবহভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।”
রক্ষণশীল ভাষ্যকার এরিক এরিকসনও লিখেছেন, “এফবিআইয়ের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।”

যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্যাটেলকে প্রশংসা করে বলেন, তিনি দ্রুত হত্যাকারী শনাক্ত ও আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে অনেক রিপাবলিকানই প্রশ্ন তুলছেন, ৩৮ হাজার কর্মী, যার মধ্যে ১৩ হাজার এজেন্ট নিয়ে পরিচালিত এই সংস্থার নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা প্যাটেলের আছে কি না।
সিনেটের রিপাবলিকান হুইপ ডিক ডারবিন প্যাটেলের ভুল ঘোষণাকে আখ্যা দিয়েছেন “অপেশাদারিত্বের নিদর্শন” হিসেবে।
কার্ক হত্যার দিনই প্যাটেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন এফবিআইয়ের তিন সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা, যাদের গত আগস্টে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাদের একজন ব্রায়ান ড্রিসকল অভিযোগ করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিশোধমূলক অভিযানের অংশ হিসেবেই তাদের চাকরি থেকে সরানো হয়েছে।
তাছাড়া প্যাটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি এখনও ট্রাম্পের পুরোনো অভিযোগ ও রাজনৈতিক এজেন্ডা অনুসরণ করছেন। তিনি অবৈধ অভিবাসন ও সড়কের অপরাধ দমনে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, যা এফবিআইয়ের অগ্রাধিকার পরিবর্তন বলে সমালোচিত হচ্ছে।
এফবিআইয়ের সাবেক কংগ্রেস বিষয়ক কর্মকর্তা গ্রেগরি ব্রাউয়ার বলেন, “সিনেটের অনেক সদস্যই প্যাটেলকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তাই তার জন্য এই শুনানিতে ভালোভাবে পারফর্ম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এফবিআই অবশ্য আসন্ন সাক্ষ্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।