যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে চার্চে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ৪

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে মরমনদের একটি চার্চে বন্দুকধারীর হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গ্র্যান্ড ব্ল্যাঙ্ক টাউনশিপ পুলিশের প্রধান উইলিয়াম রেনে জানান, স্থানীয় সময় রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জরুরি কল পাওয়ার মাত্র আট মিনিট পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত বন্দুকধারীর নাম থমাস জেকব স্যানফোর্ড (৪০), যিনি নিকটবর্তী বার্টন শহরের বাসিন্দা।
তদন্তে জানা গেছে, হামলাকারী চার্চের দরজায় একটি গাড়ি ঢুকিয়ে ভেতরে ঢোকে এবং স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে গুলি চালায়। এরপর সে গ্যাসোলিন ব্যবহার করে চার্চে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুরো চার্চ প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) ব্যুরোর ডেট্রয়েট শাখার বিশেষ এজেন্ট জেমস ডেয়ার জানিয়েছেন, “আমরা বিশ্বাস করি হামলাকারী গ্যাসোলিন জাতীয় দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করেছে।”
পুলিশ জানায়, নিহতদের পাশাপাশি আরও দুইজনের মরদেহ চার্চের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও কিছু মানুষ নিখোঁজ আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত আটজনকে স্থানীয় হেনরি ফোর্ড জেনেসিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, “আমার বন্ধুরা ভেতরে মারা গেছে। আমি যেসব ছোট শিশুদের রোববার পড়াই, তাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। এটি আমার জন্য ভীষণ মর্মান্তিক।”
অন্য একজন বলেন, “আমার স্বামী ভেতর থেকে চিৎকার শুনেছেন, একজন মহিলা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন।”

মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার ঘটনাটিকে “অগ্রহণযোগ্য” উল্লেখ করে বলেন, “প্রার্থনার স্থানে সহিংসতা ভয়াবহ এবং নিন্দনীয়।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, “হামলাকারী নিহত হয়েছে, তবে এখনও অনেক কিছু জানার বাকি আছে।”
এফবিআই প্রধান কাশ প্যাটেল জানান, এফবিআই ইতোমধ্যে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, এই হামলার একদিন আগেই মরমন চার্চের ১০১ বছর বয়সী নেতা রাসেল নেলসন মারা যান।
গ্র্যান্ড ব্ল্যাঙ্ক শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ৭০০, যা ডেট্রয়েট থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।