দুদিন পর আফগানিস্তানে ফিরল ইন্টারনেট

তালেবান সরকারের নির্দেশে ইন্টারনেট ও টেলিকম পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর তা পুনরায় চালু হয়েছে। এতে উল্লাস করতে রাস্তায় নেমে এসেছে আফগানরা। এই ব্ল্যাকআউটের ফলে দেশে-বিদেশে ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠেছিল। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সাংবাদিক ও ইন্টারনেট মনিটর নেটব্লকস জানিয়েছে, বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে নেটওয়ার্ক সংযোগের আংশিক পুনরুদ্ধার হয়েছে। সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে, তালেবান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইন্টারনেট ফিরে এসেছে।
ইন্টারনেট ফিরে আসার পর রাজধানী কাবুলের চিত্র পাল্টে গেছে। সবাই খুশি, তারা মোবাইল ফোন ধরে আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন।
কাতারে তালেবানের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র সুহাইল শাহীন নিশ্চিত করেছেন, বুধবার বিকেলের মধ্যে সমস্ত যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
এই ৪৮ ঘণ্টার ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট আফগানিস্তানে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। ব্যবসা ও বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল, ব্যাংক বন্ধ ছিল। শপিং সেন্টারগুলো প্রায় খালি হয়ে গিয়েছিল। মানি এক্সচেঞ্জ বাজারে আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের পাঠানো গুরুত্বপূর্ণ অর্থ দেশে প্রবেশ করতে পারেনি।
জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল, এই ব্ল্যাকআউট দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি ও বিশ্বের অন্যতম খারাপ মানবিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে।

তালেবান সরকার ইন্টারনেট বন্ধের কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা না দিলেও, গত মাসে উত্তরাঞ্চলীয় বালখ প্রদেশের গভর্নরের একজন মুখপাত্র অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ইন্টারনেট বন্ধের কথা বলেছিলেন।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে তালেবানরা কঠোরভাবে তাদের ইসলামি শরিয়া আইনের ব্যাখ্যা অনুসারে অসংখ্য বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে নারীদের চাকরির বিকল্প কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীদের লেখা বইগুলো সরিয়ে নেওয়া।
স্থানীয় এক দোকানদার বিবিসিকে বলেন, যখন কোনো আশা থাকে না বা বাকস্বাধীনতা থাকে না, তখন ইন্টারনেট বন্ধ থাকাটা ধীরে ধীরে মৃত্যুর মতো।