এবার ধাপে ধাপে আন্দোলন হবে : গয়েশ্বর
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/09/07/gyyeshbr-raayy.jpg)
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার পতন কীভাবে করতে হয়, অতীতে সে অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। অভিজ্ঞতা যে আমাদের নেই তা নয়; তাই সেই অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে। এই সরকার যেহেতু জনগণের সমর্থিত নয়, জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়; এবার ধাপে ধাপে আন্দোলন হবে।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে যুবদলের শোক র্যালির আগে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের উদ্যোগে এই শোক র্যালির আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, প্রশাসনের কয়েকটি ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ লোক নিয়ে বেশিদিন চলতে পারবে না। তাদেরকে বিদায় নিতে হবে। বিদায়টা যদি ভালোভাবে নেয় এক কথা, আর যদি খারাপভাবে নেয়; তার পরিণতির জন্য তাকেই দায় নিতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল তার দায় নেবে না।
বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের যখন শেষ সময় আসে, তখন সে হুমকি দেয়, একটু নড়েচড়ে বসে। এখান থেকে বোঝা যায়, এই নড়াই তার শেষ নড়া। এর পরে তার পড়ে যাওয়ার পালা।
তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশের সাথে, বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে আজীবন। কিন্তু গোলামী নয়। যদি গোলামের বিষয়টি হয়, তাহলে আমরা ২৫ দিনও মানি না; ২৫ বছর তো অনেক বেশি। আর যদি বন্ধুত্বের বিষয় হয়, তাহলে আমরা মনে করি প্রতিবেশি দেশের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব আজীবন থাকতে পারে। থাকাটা উচিত, থাকাটা ভাল। আমরা বন্ধুত্ব চাই, কর্তৃত্ব চাই না, এটাই আমাদের অপরাধ। এটাই জিয়াউর রহমানের অপরাধ ছিল, এটাই খালেদা জিয়ার অপরাধ ছিল। খালেদা জিয়া বলেছেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। প্রভুত্ব স্বীকার করলে কোনদিন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ইজ্জত বা মর্যাদা থাকে না।
গয়েশ্বর বলেন, সরকার যত টালবাহানা করে অতীতে পার হয়েছে, এবার সেই সুযোগটা নেই। এদেশে নির্বাচন করবে আর তাকে (শেখ হাসিনা) সরকারে রাখবে, সেই শক্তি ভারতের কতটুকু, তাতেও সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক বিশ্বে দৃশ্যমান গণতন্ত্রের বিপক্ষে ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়ায়, তাহলে আজকে গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিবেক কিন্তু নড়ে উঠবে। সেখানেও কিন্তু ভারতকে সাবধান হওয়ার ব্যাপার রয়েছে এবং অতীতের নীতি পরিবর্তন করার দরকার আছে, সংশোধন করার দরকার আছে। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, এখানে কে সরকারে আসবে কে আসবে না।
ঢাকা উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।