কচুরিপানায় ছেয়ে গেছে গাজনার বিল, দূষিত হচ্ছে পানি

কচুরিপানায় ঢাকা পড়েছে পাবনার সুজানগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিল। বিলের কোথাও এখন আর পানি চোখে পড়ে না। যতদূর চোখ যায়, কচুরিপানা ছাড়া আর কিছু নেই। এক কথায় গোটা গাজনার বিল এখন কচুরিপানার দখলে। আর কচুরিপানায় দূষিত হচ্ছে পানি। মারা যাচ্ছে বিলের মাছসহ জলজ প্রাণী।
খয়রান গ্রামের মৎস্যজীবী বাছেত মিয়া বলেন, ‘আমরা গাজনার বিলে মাছ ধইরা জীবন চালাই, কিন্তু এবার কচুরিপানায় ভইরা যাওয়ায় বিলে মাছ পাচ্ছি না। পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাইতেছি।’
বগাজানি গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কিছু কিছু জমিতে বর্ষায় পানি থাকে। পানি নেমে গেলে সেখানে পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ফসল চাষ হয়। কিন্তু এবার কচুরিপানা না সরালে চাষ সম্ভব না।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন, ‘গাজনার বিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল। এই বিলে বর্ষা মৌসুমে আশপাশের এলাকার শত শত পর্যটক নৌ-ভ্রমণ করতে আসেন। তা ছাড়া বিলটিতে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর পরিমাণে মাছ উৎপাদন হয়। সেই সঙ্গে প্রতি বছর সরকারিভাবেও বিলে প্রচুর মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ওই বিলের খয়রান, দুর্গাপুর, বামুন্দি, পাইকপাড়া, চরদুলাই, উলাট ও বোনকোলসহ ১০ থেকে ১৫টি পয়েন্টে ব্যাপকভাবে কচুরিপানায় ভরে গেছে। কচুরিপানার কারণে বিলে মৎস্যজীবীদের নৌকা চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে পারছেন না। তাছাড়া কচুরিপানার কারণে পানি দূষিত হয়ে উঠেছে। এতে মাঝেমধ্যে বিলে রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে।
সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রওশন আলী বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে সরকারিভাবে বিল থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার বা অপসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।