গৌরীপুরের মেয়রের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ সাংসদ নাজিম উদ্দিনের

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের কর্মসূচিতে গৌরীপুর উপজেলা সদরে যাওয়ার সময় মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সাংসদ নাজিম উদ্দিন আহমেদ। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করে এ দাবি করেন সাংসদ নাজিম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংসদ বলেন, ‘আমার নেতাকর্মীদের কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। রাজাকারের ছেলে গৌরীপুরের মেয়রের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। ২০ জন আহত হয়েছে। মেয়রের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশ রয়েছে।’ তিনি পুলিশ পুলিশকে দোষারোপ করে বলেন, ‘আমি ফোন করলে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মেয়রের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে।’
সাংসদ নাজিম উদ্দিন জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে সরকারি ও দলীয় কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য গৌরীপুরে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে মেয়রের নেতৃত্বে তাঁর গাড়ি বহরে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।
সাংসদ অভিযোগ করে বলেন, ‘এ ঘটনা এসপিকে জানালে এসপি বলেন ফোর্স পাঠাচ্ছি। মেয়রের বাবা রাজাকার ছিল। এ জন্য সে দেড় বছর জেল খেটেছে। মেয়র হাইব্রিড। মেয়র সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আজ রাজকারের সন্তানের কাছে মুক্তিযোদ্ধার পরাজয় হলো। হামলার পর গৌরীপুরে দা, বল্লম, লাঠি মিছিল করেছে মেয়রের লোকজন। মেয়রের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আছে। বারবার বলার পরও চার্জশিট দেওয়া হয় না। এতে পুলিশের কোনো ধরনের স্বার্থ আছে। এর আগে আমাকে, আমার ছেলে রাজিবকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমি জিডি করেছি। গৌরীপুরে মেয়র সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আ.লীগের নেতাকর্মীরা তার ভয়ে ঘরে থাকতে পারে না। পুলিশ কোনো কার্যকর ভূমিকা নেয় না। পুলিশ আমার কথা শুনে না।’
সংবাদ সম্মেলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চান গৌরীপুরের সরকারদলীয় এ সাংসদ। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আ.লীগের পরাজিত মেয়র পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম হবি, অচিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে গৌরীপুরের মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এমপির ছেলে রাজিব গুলি করেছেন।