গৌরীপুরে মেয়র ও স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতার নামে পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ৪

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ ও পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে গত ৭ মার্চ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যাচেষ্টার পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া একই ঘটনায় নূরে আলম নামের আরেক যুবক একটি মামলা করেছেন। গৌরীপুর থানায় গতকাল সোমবার রাতে এসব মামলা করা হয়।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম সিদ্দিকী আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামসহ ৪২ জনের নামে মামলা করেছেন উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদের ছেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি তানজির আহমেদ রাজিবসহ ১২-১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। এসব মামলায় বাবু, রাজিব, হায়দার ও শহীদ নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, দুই মামলাতেই হত্যাচেষ্টার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গৌরীপুরের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ গত ৭ মার্চ সরকারি ও দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। এ সময় মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের লোকজন গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁর গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। এ অভিযোগ এনে মেয়রকে দায়ী করে ৭ মার্চ রাতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন। হামলায় ২০ নেতাকর্মী আহত হন বলেও দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে ঘটনার পরই ওই দিন দুপুরে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে মেয়র রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে নিজ কার্যালয়ে ফেরার পথে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিনের ছেলে তানজির আহমেদ রাজিবের নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
মেয়র আরও বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত করতে না পেরে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই গুলি করা হয়েছে।