কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরপরই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাতজন আহত হয়েছে এবং প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা ও মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপরই পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন ছায়কোট গ্রামের ফুল মিয়া (২২), আল-আমিন (২৫), কাউন্সিলর আব্দুস ছালামের ছেলে জাহিদ (২০), সাদ্দাম হোসেন (৩০), বিল্লাল হোসেন (৩৫), বুড়িচং উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের আশিকুর রহমান (৩০), মুরাদনগর উপজেলা বাবুটিপাড়া গ্রামের মিশু সরকার (২৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় চান্দিনা পৌরসভার তফসিল ঘোষণার পর বর্তমান কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস ছালাম মনোয়নপত্র জমা দেন। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আলী হোসেনও প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আব্দুস ছালামকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেয়। বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যহারের জন্য নির্দেশ দেয়। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হন আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন। আজ প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর তাদের সমর্থকরা এলাকার মিছিল দেয়।

উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস ছালাম বলেন, ‘আমার লোকজন প্রচারণা করার সময় প্রতিপক্ষের প্রার্থীর লোকজন তাদের প্রতীকের কথা উল্লেখ করে মিছিল দেয়। তার কিছুক্ষণ পর আমার প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা ও মাইক ভাঙচুর করলে আমার লোকজন বাধা দেয়। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে আমার ছেলেসহ তিনজন আহত হন।’

ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী হোসেন বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আমার লোকজন মিছিল নিয়ে প্রচারণায় গেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুস ছালামের লোকজন আমার লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমার চারজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামস উদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, ঘটনার পরপর আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। যদি করে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।