জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ৮০ ভাগ ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট : আইইডিসিআর
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) মোট ৫০টি করোনার নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে। এর মধ্যে ৪০টি নমুনায় ডেল্টা, অর্থাৎ ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
আইইডিসিআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আজ শুক্রবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নিয়মিত ভিত্তিতে কোভিড-১৯-এর সংক্রমিত এলাকাগুলোতে আক্রান্ত রোগীদের কেস ইনভেস্টিগেশন, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ও সন্দেহজনক রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে আইইডিসিআর। গত ১৬ মে থেকে এখন পর্যন্ত ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে। এ সব নমুনার মধ্যে ৪০টি (৮০ শতাংশ) নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট পাওয়া গেছে।’
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘এ ছাড়া আটটি (১৬ শতাংশ) নমুনায় বিটা ভ্যারিয়্যান্ট (সাউথ আফ্রিকা ভ্যারিয়্যান্ট) শনাক্ত হয়েছে। আর একটি করে সার্কুলেটিং স্ট্রেইন ও আনআইডেন্টিফায়েড (অজানা) ভ্যারিয়্যান্ট পাওয়া গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে সংগৃহীত ১৬টির মধ্যে ১৫টি নমুনায়, গোপালগঞ্জ জেলা থেকে সংগৃহীত সাতটি নমুনার সবগুলোতে ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া খুলনা শহর থেকে সংগৃহীত তিনটি নমুনার সবগুলোতে, ঢাকা শহরের চারটি নমুনার দুটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় আসা সাতজনের নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ভারত থেকে আসা ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত বিভিন্ন জেলার অপর তিন অধিবাসী চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায় চিকিৎসাধীন।’
এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে তিনজনের (৭ শতাংশ) বয়স অনূর্ধ্ব ১০ বছর, সাতজনের (১৮ শতাংশ) বয়স ১০ থেকে ২০ বছর, ১০ জনের (২৫ শতাংশ) বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর, আটজনের (২০ শতাংশ) বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর ও চারজনের (১০ শতাংশ) বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। এদের মধ্যে ২৪ জন (৬০ শতাংশ) রোগী পুরুষ। ডেল্টা ভারিয়্যান্টে আক্রান্তদের মধ্যে আটজনের ভারতে ভ্রমণের ইতিহাস আছে এবং ১৪ জন (৩৫ শতাংশ) রোগীর বাংলাদেশের বাইরে ভ্রমণ অথবা বিদেশফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কোনো ইতিহাস পাওয়া যায়নি।’
সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসহ অন্যান্য জেলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণের হার হ্রাস করার লক্ষ্যে এবং দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টসহ কোভিড-১৯-এর অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে আইইডিসিআর সব জনসাধারণকে সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছে।’