ডিবি সেজে ডাকাতি, চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/10/11/arrest.jpg)
রাসেল মোল্লা পেশায় গাড়িচালক। এর আড়ালে মূলত কাজ করতেন ডাকাত দলের ‘গোয়েন্দা’ হিসেবে। মোটা অংকের টাকা বহনকারীদের তথ্য দলের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া ছিল তাঁর কাজ। এরপরই ডিবি পুলিশ পরিচয়ে টার্গেট করা ব্যক্তিকে (টাকা বহনকারী) অপহরণ করে সর্বস্ব লুটে নিত ডাকাতদলের সদস্যরা। এমন একটি চক্রের ছয় সদস্য অবশেষে ধরা পড়েছে।
গতকাল সোমবার দিনগত রাতে র্যাবের একটি দল যাত্রাবাড়ীর ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতচক্রের ওই ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০-এর অধিনায়ক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—চক্রের হোতা সবুজ খান, মিন্টু পাটোয়ারী, গোয়েন্দা কাজে সহায়তা করা রাসেল মোল্লা, ইকবাল মিয়া, মনিরুল ইসলাম ও খোকন মিয়া।
অভিযানে তিনটি ভুয়া ডিবি জ্যাকেট, দুটি ওয়াকিটকি সেট, একটি হাতকড়া, একটি খেলনা পিস্তল, একটি হ্যান্ড ফ্লাশ লাইট, পুলিশের মনোগ্রাম সংবলিত স্টিকার জব্দ করা হয়।
মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের এই সদস্যরা ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, মতিঝিল ও বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রয়োজনে টাকা নিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তিদের টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ ডাকাতি করে আসছিল।’
মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে মাদক কারবারি বা মামলার আসামিসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ডাকাতদের সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে মারধর করত এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যেত। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সব জিনিসপত্র নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে মাইক্রোবাস থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যেত।’