দেশ যতদিন থাকবে, জিয়াউর রহমান ততদিন থাকবেন : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে যুদ্ধে। যুদ্ধ করেছেন কে? জিয়াউর রহমান। সুতরাং দেশ যতদিন থাকবে, জিয়াউর রহমান ততদিন থাকবেন।’
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ শুক্রবার দুপুরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, গণমাধ্যম, গণকণ্ঠ অবরুদ্ধ, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোন পথে? শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের জন্য, মানুষের জন্য নয়। এদের মানুষের সংজ্ঞায় ফেলানো যায় না। এই আওয়ামী লীগ ভালো করবে, সেটা আশা করা যায় না। তাদের দেশের জন্য ত্যাগ আছে, আমাদের নেই। আমাদের ত্যাগ মলমূত্রের মতো।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১৯৬২ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত আমি কোনো সংগঠনের সদস্য ছিলাম বলে মনে পড়ে না। যখন দলের কর্মী বেড়ে যায়, তখন যারা পদবঞ্চিত হয়, বুঝতে হবে তাদের মাঠে কোনো ত্যাগ নেই। তাদের দিয়ে আন্দোলন হয় না। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শেয়ারবাজার-ব্যাংক লুট, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, এটা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে সেই কুকর্ম উঠে আসবে।’
সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অকৃতজ্ঞের দল। আজ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের নাম মুখে নেওয়া হয় না। আজ ইতিহাস এমনভাবে বিকৃত করা হয়েছে, সবকিছু একজনই করেছেন। আওয়ামী যে কর্মকাণ্ড করছে, তাদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কী আশা করবেন।’
হাবিবুর রহমান হাবিব আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রথম পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি ছোড়েন জিয়াউর রহমান। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের সেই সুবর্ণ জয়ন্তী প্রোগ্রাম লাঠি নিয়ে রুখে দিতে হবে। ২০২১ সাল আওয়ামী লীগের পতনের বছর।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সাহেদুল ইসলাম লরেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওলামা দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুর রহমান মোল্লা প্রমুখ।