ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ডিবির এসআই সাময়িক বরখাস্ত

খুলনা সদর থানার সামান্য দূরে একটি হোটেলকক্ষে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তারকৃত ডিবির উপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমকে আজ বৃহস্পতিবার সাময়িক বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
অপরদিকে ভিকটিম নারীর ১১ বছর বয়সী মেয়ে একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আজ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ডিবির এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে রিমান্ডে আনার প্রয়োজন নেই। তবে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিমের ১১ বছর বয়সী মেয়ে ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আজ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ভিকটিমের ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ভিকটিম আজ খুব গোপনীয়ভাবে খুলনা থেকে মোংলায় চলে গেছেন। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা কোনো মিডিয়ার সামনে কথা বলেননি।
পুলিশও এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। খুলনা সদর থানার অদূরের সুন্দরবন হোটেলের ম্যানেজারসহ কয়েকজন বয়কে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বাগেরহাটের মোংলা থেকে ভুক্তভোগী নারী তার ১১ বছর বয়সী মেয়ে এবং ভাগ্নেকে সঙ্গে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য গত মঙ্গলবার খুলনায় আসেন। কিন্তু সিরিয়াল না পেয়ে রাতে হোটেলে থেকে পরের দিন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মেয়েকে নিয়ে নগরীর সুন্দরবন হোটেলের ১৩ নং কক্ষে অবস্থান করছিলেন তিনি। রাত ২টা ৫০ মিনিটে ডিবির এসআই জাহাঙ্গীর আলম হোটেলে গিয়ে রুমে ভিকটিমের সঙ্গে থাকা মেয়েটি তার নয় বলে দাবি করেন। এই সময় হোটেল বয়কে ধমক দিয়ে রুম থেকে বের করে মেয়ের সামনেই মাকে ধর্ষণ করেন।
এই সময় ভিকটিম ও তার মেয়ে চিৎকার করলে হোটেলের লোকজন এবং সদর থানা পুলিশ গিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে থানা নিয়ে আসে। ভিকটিম পরে মহিলা পুলিশের সহায়তায় ভোররাতে খুলনা সদর থানায় গিয়ে মামলা করেন।
এই মামলায় ডিবির এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বুধবার আদালতের মাধমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আজ সাময়িক বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে কেএমপি।