ধোবাউড়ায় শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ধামাচাপার অভিযোগ, পরিবহন নেতা গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে উপজেলা পরিবহন শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি, গ্রাম্য বিচারক এবং অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি আশরাফ সাঈদি মামুনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ আজ বুধবার সকালে এসব তথ্য জানান।
মামুনের নামে ধোবাউড়া থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা বিদ্যমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি ও স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার সকালে ধোবাউড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের ছয় বছর বয়সী মাদ্রাসা পড়ুয়া প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী মোবাইল ফোনে কার্টুন দেখছিল। ঘরে একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে একই গ্রামের রহম আলী (৫৫)। এ ঘটনা জানাজানি হলে আশরাফ সাঈদি মামুন পুলিশ ‘ম্যানেজ করার’ কথা বলে আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। অন্যদিকে ওই শিশুর বাবাকে মামলা দিতে থানায় যেতেও বাধা দেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কৃষ্ণপুর চৌরাস্তা থেকে আশরাফ সাঈদি মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শিশুর বাবা বাদী হয়ে আশরাফ সাঈদি মামুনসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন অভিযুক্ত রহম আলী, গ্রাম্য বিচারক কুদরত আলী (৩০), জবেদ আলী (৩০), সামসুল হক (২৫) ও আজিজুল হক (৩০)।
মামুন ছাড়া মামলার অন্য পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।