নোয়াখালীতে ওবায়েদ উল্লাহ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

নোয়াখালী সদর উপজেলার সল্যাঘটাইয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ওবায়েদ উল্লাহ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন ও বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে এই অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। উৎসবটির আয়োজন করে বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
দিনব্যাপী নানান কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রাক্তন ছাত্র বনাম বর্তমান ছাত্রদের মধ্যকার প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, কেক কাটা, আলোচনা সভা, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো।

বিকেল ৩টায় জামিল মিশুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গোলাম জিলানী দিদার। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ওবায়েদ উল্লাহ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শরীফ উল্লাহ বাহার। আরো বক্তব্য দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেন, প্রাক্তন শিক্ষক আবু জাহের, প্রাক্তন ছাত্র আকতার রশিদ মুন, মুজিবুর রহমান, ৯৯ ব্যাচের আবুল হোসেন বিপ্লব ও স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট সদস্য মেহেদী হাসান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর। তাই শিক্ষকদের উপযুক্ত সম্মান জরুরি। বর্তমানে আমরা ডিজিটাল যুগে আছি। তাই সব কিছু হাতের নাগালেই পাচ্ছি। কিন্তু যখন ডিজিটাল প্রযুক্তি কিছুই ছিল না, তখন কত কষ্ট করে এই শিক্ষকেরা তাদের ছাত্রদের পড়িয়েছেন, শিখিয়েছেন, স্কুলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। অথচ তখন বেতনও ছিল কম।’

উপজেলা চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘একটি সমাজ তখনই উন্নত হয়, যখন সেখানে শিক্ষিত আলোকিত মানুষ থাকে। আমরা যদি প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করি তবে আমাদের সমাজে জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস ও বেকারত্ব থাকবে না।’
বিশেষ অতিথি শরীফ উল্লাহ বাহার তাঁর বক্তব্যে স্কুলটির সূচনালগ্ন থেকে যাদের অবদান ছিল পর্যায়ক্রমে তার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।
বক্তারা এ সময় বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ওয়াহেদ উল্লাহ বাবুকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের কথা তুলে ধরেন।
আলোচনা সভা শেষে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় আতশবাজি ও ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদযাপন শেষ করা হয়।