নড়াইলে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, চারজন গ্রেপ্তার

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় স্বামীর ইন্ধন ও সহযোগিতায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে স্বামী আতাউর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন ওই গৃহবধূর স্বামী আতাউর রহমান, একই গ্রামের রিয়াজ শেখ, মিল্লাত হোসেন, দীন মহম্মাদ কালু ও তালহা জোবায়ের আশিক (২১)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, যশোর সেনানিবাসে কর্মরত আতাউর রহমানের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের ঘরে জন্ম নিয়েছে তিনটি সন্তান। কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে স্বামী তাঁকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। ওই গ্রামের রিয়াজ শেখ ওই গৃহবধূকে নানাভাবে উক্ত্যক্ত করতেন। গত রোববার রাত ২টার দিকে রিয়াজসহ স্থানীয় চার যুবক ওই বাড়িতে হানা দিয়ে ওই গৃহবধূকে ডেকে তোলেন এবং দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু গৃহবধূ দরজা খুলতে রাজি না হলে অভিযুক্তরা তাঁর স্বামীকে মোবাইল ফোনে জানান। তাঁর স্বামী তাঁকে সেনানিবাস থেকে মোবাইল ফোনে দরজা খোলার নির্দেশ দিলে গৃহবধূ ঘরের দরজা খুলে দেন। এরপর অভিযুক্তরা ঘরে ঢুকে তাঁর সন্তান ও প্রতিবেশী পারভেজ মোল্যাকে মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দেন। পরে তারা দরজা আটকে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন।
অভিযুক্তদের একজন ধর্ষণ দৃশ্যের ভিডিওচিত্র ধারণ করে যশোরে থাকা স্বামী আতাউরের মোবাইল ফোনে পাঠাতে থাকেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর ওই গৃহবধূর স্বামী সেনাসদস্য আতাউর রহমান ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। তখন স্ত্রীর অভিযোগে ও ওই মামলার আসামি হওয়ায় পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেয়।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্বামী আতাউরকে যশোর সেনানিবাসে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভিকটিম গৃহবধূকে পরীক্ষার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।