পিরোজপুরে তৃণমূলে খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/07/24/ok.jpg)
পিরোজপুরের ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকারের নেওয়া বিশেষ উদ্যোগ এখন চলছে খুঁড়িয়ে। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু হলেও নেই প্রয়োজন মোতাবেক ভবন, লোকবল ও চিকিৎসক। ফলে, ব্যাহত হচ্ছে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা।
জানা গেছে, জেলায় মোট ৫৪টি ইউনিয়ন থাকলেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র আছে ৪৩টি। ছয়টি ইউনিয়নে রয়েছে ছয়টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এসব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে ৪৩ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকার কথা। যদিও অনুমোদিত পদ রয়েছে মাত্র ৩৮টি।
অন্যদিকে, মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান যারা নিশ্চিত করে থাকেন, সেই পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার অনুমোদিত পদ ৬৬টি থাকলেও আছে মাত্র ৩৮ জন। কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত ওষুধ। কিন্তু, সেই ওষুধ যারা রোগীদের দেন, সেই চিকিৎসকই অপর্যাপ্ত।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয় না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেবা নিতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়।
উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য সরকার প্রতিটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন করে মেডিকেল অফিসার (এমবিবিএস) দেওয়া হলেও, বর্তমানে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার একটি কেন্দ্র ছাড়া অন্য সব কেন্দ্র মেডিকেল অফিসার শূন্য।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী এনটিভি অনলাইনকে জানান, কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক জরাজীর্ণ থাকলেও তারা সেগুলো মেরামত ও পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। তারা এগুলোর মান বাড়ানের চেষ্টা করছেন।
পিরোজপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক দিলীপ কুমার দাস জানান, তারা মারাত্মক জনবল সংকটে আছেন। এমনকি, লোকবলের অভাবে মাঝে মাঝে অফিসও তালাবদ্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে।