বন্ধের পথে বোদা ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র

১৪ বছর আগে যাত্রা শুরু করে ‘বোদা ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র’। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রটিতে এখন আর রোগীরা যান না বললেই চলে। প্রতিদিন হাতে গোনা ১-৫ জন এলেও প্রায়ই থাকে রোগীশূন্য। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি আজ বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
শুরু থেকেই এখানে চিকিৎসক সংকট, জনবল ঘাটতি, তদারকির অভাব ও দায়িত্বশীলদের অনিয়মে সেবার মান প্রশ্নবিদ্ধ। অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষার কাজে দক্ষ জনবল না রেখে অদক্ষ লোক ব্যবহার করা হচ্ছে, যা রোগীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।
চিকিৎসা নিতে আসা সোলেমান নামে এক রোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ভেবেছিলাম কাছে হাসপাতাল আছে বলে সুবিধা পাবো। কিন্তু এখানে গেলে ডাক্তার পাওয়া যায় না। টেস্ট করাতে গেলেও বিশেষজ্ঞ নেই। তাই বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক বা জেলা শহরে যেতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে এক সাংবাদিকও পরীক্ষা করাতে চাইলে দায়িত্বে থাকা প্যাথলজি টেকনিশিয়ান নিজে রক্ত সংগ্রহ না করে তার নিয়োগ করা এক নারীকে পাঠান। ওই নারী রক্ত সংগ্রহ করলে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন—তিনি কোথায় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন? কিন্তু কোনো উত্তর দিতে পারেননি। প্রশিক্ষণহীন লোক দিয়ে এভাবে রক্ত নেওয়া রোগীর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে কেন্দ্রটির মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নুর ইসলাম বাবু বলেন, আমি এখানে প্যাথলজি টেকনিশিয়ানের দায়িত্বে রয়েছি। যারা কাজ করছে তারা শিখছে। তাদের বেতন ইউএনও স্যার প্রদান করেন। ডাক্তার না থাকায় রোগীর সংখ্যা কম আসছে।
তবে স্থানীয়দের দাবি করেন—নুর ইসলাম বাবু নিয়মিত হাসপাতালে আসেন না। বরং তিনি নিজেই বিভিন্ন প্রকল্পের চেয়ারম্যান হয়ে নানা অনিয়ম করেন এবং অফিসের বাজেট থেকে সুবিধা নেন।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, তিনি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।