প্রতিবাদ করতে দিন, গণতন্ত্রকে ফিরে আসতে দিন : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘উন্মুক্ত রাজপথে আন্দোলনে বাধা দিলে বিকল্প পথ খুঁজতে কর্মীরা বাধ্য হবে। এ দেশে নিরস্ত্র জনগণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেছে। তাদের পরাজিত করে দেশের মাটিতে ফেরত পাঠিয়েছে। আন্দোলনের মুখে কোনো অস্ত্র ও পোশাকের ভয় দেখিয়ে কখনোই সত্য কথা আড়াল করা যাবে না। সেই কারণেই বলছি— মুক্তি দিন, প্রতিবাদ করতে দিন, গণতন্ত্রকে ফেরত আসতে দিন।’
আজ শনিবার ‘লেখক মুশতাক আহমেদ ও সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরে এলে গণতন্ত্রের প্রশাসনে যাঁরা চাকরি করবেন, তাঁরা গর্বিত প্রশাসক হিসেবে জনগণের সামনে নিজেদের হাজির করবেন। পুলিশ প্রশাসন যদি জনগণের সেবা করা বাদ দিয়ে লাঠিপেটা করে, জনগণ বাধ্য হবে লাঠি কেড়ে নিতে। জনগণের দেশ জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে, গণতন্ত্র জনগণ ফিরিয়ে আনবেন। এখানে কোনো মন্ত্র-তন্ত্র কাজে লাগবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আগামীকাল ৭ মার্চ। এদিন তারেক রহমানের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী শক্তি নির্মূলের যে সূচনা হয়েছে, তা সারা দেশ দেখেছে। বাংলাদেশের লেখক, বুদ্ধিজীবীরা গ্রেপ্তার হন, বিনা বিচারে জেল থেকে লাশ হয়ে বের হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মুশতাকের মৃত্যু নাকি স্বাভাবিক?’
সুশৃঙ্খল বাহিনী ছাড়া যুদ্ধ হয় না উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘দলের শৃঙ্খলাসহ যা কিছু আছে মেনে নিয়ে ঐক্যমত ও নিজেদের মধ্যে ইস্পাত কঠিন থাকা দরকার। জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিটি কর্মীকে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে জিততে হবে। শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’