প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থার কারণেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দেশে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা এসব উন্নয়নকে থামাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।’

আজ সোমবার দিনাজপুরে বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বর্ধিত সভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় সংসদের হুইপ।

এ সময় হুইপ এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেই খালেদা জিয়ার প্রতি মানবতা দেখিয়েছেন। বাসায় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু বিএনপি এখন কোনো ইস্যু না পেয়ে খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকেই হাতিয়ার বনিয়েছে। চিকিৎসার নামে অপরাজনীতি করছে। বিএনপির অপরাজনীতি কঠোর ভাবে দমন করা হবে।’

হুইপ ইউপি নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নৌকা ও শেখ হাসিনা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পারেন এ দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা দিবেন তার পক্ষেই কাজ করার আহ্বান জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হুইপ বলেন, ‘নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে অথবা কাজ করলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেসব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইমদাদ সরকারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাতলুবুল  মামুনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ফরিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগনেতা আজগার আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মমিনুল ইসলাম, সহসভাপতি মো. জহুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম সোহাগ, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম সরকার, দিনাজপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আহসানুজ্জামান চঞ্চল প্রমুখ।

এ ছাড়া ১০টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য দেন।

এ সময় উপিস্থিত ছিলেন ১০টি ইউনিয়নের ৯০টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।