বাবাকে হারানোর ১৫ বছর পর বাঘের থাবাতেই প্রাণ হারালেন ছেলে মৌয়াল কাওসার গাইন (২৭)। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী ফরেস্ট স্টেশনের অধীন খেজুরদানা এলাকায় গতকাল শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

বনবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কাওসারের মরদেহ নটাবেকীর বিপরীতে হাড়িয়াভাঙা সন্ধ্যা নদীর ভারতীয় এলাকার ঝড়খালিতে রয়েছে। মৌয়াল কাওসারের সঙ্গী হিসেবে আরও ১২ জন ছিলেন। তাঁরা ফিরে এসে এই খবর দিয়েছেন পরিবারকে।

বাঘের থাবায় প্রাণ হারানো কাওসার গাইন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের রাজ্জাক গাইনের ছেলে। রাজ্জাক গাইন ২০০৬ সালে একইভাবে সুন্দরবনের মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের থাবায় প্রাণ হারান।

বনবিভাগের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার মো.  নূর আলম জানান, ১৩ জনের একটি দল বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যান। তাঁরা নটাবেকী স্টেশনের আওতাধীন খেজুরদানা এলাকায় মধু সংগ্রহ করতেন। গতকাল দুপুরে মৌয়াল কাওসার গাইন নৌকার মাঝি হিসেবে হাল ধরে খেজুরদানা খালে বসে ছিলেন। এ সময় একটি বাঘ তাঁর ওপর হামলা করে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এরপর সঙ্গীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর মরদেহটি খুঁজে পায়নি।

স্টেশন অফিসার বলেন, ‘বনবিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তল্লাশি অব্যাহত রেখেছি।’

বনবিভাগের সুন্দরবন রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান জানান, ঘটনাস্থল নটাবেকী খেজুরদানার বিপরীতে হাড়িয়াভাঙার সন্ধ্যা নদীর ভারতীয় এলাকা ঝড়খালির বনে ঘটে বলে আমি বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি। তাঁর মরদেহ নিয়ে আসতে হলে ভারতীয় বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা দরকার হবে।