বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান হেলালের

৭ নভেম্বরের বিপ্লবের চেতনায় আর একটি গণঅভ্যূত্থান সৃষ্টির মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। আজ সোমবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, দেশ, জনগণ, স্বাধিকারসহ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনাবিরোধী সুগভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। এই বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি পেয়েছিল এক যোগ্য নেতৃত্ব জিয়াউর রহমানকে। যিনি একাত্তরে জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, নব্য ফ্যাসিবাদী সরকার জানে, বিএনপির হাতেই রয়েছে গণতেন্ত্রর রক্ষাকবচ। আর তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ রেখে আন্দোলনকে দমন করতে চায়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলে যেন তিনি দেশে ফিরতে না পারেন।
সরকারের লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে হেলাল বলেন, এই অবৈধ মধ্যরাতের সরকারের পরিবর্তে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মুক্তি নেই।
খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহকারী প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপিনেতা শফিকুল আলম তুহিন, এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, মেজবাউল আলম, শেখ সাদী, কে এম হুমায়ুন কবির, মাহবুব হাসান পিয়ারু, আজিজা খানম এলিজা প্রমুখ।
উল্লেখ, গতকাল বিএনপি কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু।