ব্যাংকের লকার থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণ গায়েব, তদন্ত কমিটি গঠন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পূবালী ব্যাংক শাখার লকার থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণ গায়েবের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মো. শফি উল্লাহ আজ সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে স্বর্ণের মালিক ফারহানা ইয়াসমিন গতকাল রোববার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
এ ঘটনা তদন্তে আঞ্চলিক শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নজরুল ইসলাম ফরাজীকে আহ্বায়ক এবং একই শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (আইন) মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রিন্সিপাল অফিসার মো সাফায়েত উল্লাহকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন বাকৃবির পূবালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. আনিসুর রহমান।
আজ দুপুরে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় বাকৃবির প্রক্টর প্রফেসর ড. মহির উদ্দিন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল মো. শফি উল্লাহর স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন পূবালী ব্যাংকের ৬৪ নং লকারে ১৫ ভরি স্বর্ণ সংরক্ষণ করেন। লকার আর খুলেননি তিনি। তিনি তখন উত্তরা ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. আনিসুর রহমান বলেন, লকার মালিক তিন বছর আগে লকারটি ভাড়া নিয়েছেন। তিনি আর লকার খুলতে আসেননি। নিয়ম অনুযায়ী লকারের চাবি মালিকের হাতে থাকে। এখান থেকে স্বর্ণ গায়েব হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে মো. শফি উল্লাহ বলেন, শাখা ব্যবস্থাপক নিজে রক্ষা পেতে এবং তার স্টাফদের রক্ষার জন্য এসব কথা বলছেন।