‘মাদক বিক্রিতে’ বাধা, সাবেক পুলিশ সদস্যসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম

পাবনার সুজানগর উপজেলায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য ও তাঁর ভাইকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার উলাট গ্রামে গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুজন হলেন সাবেক পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম রেন্টু (৬০) ও তাঁর ভাই রতন মোল্লা (৪০)। তাঁদের পাবনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা উলাট দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ, আহত রেন্টু মোল্লার ছেলে সজল মোল্লা ও স্বজনেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জেলার সুজানগর উপজেলার উলাট মাদ্রাসার মাঠ এবং বিভিন্ন স্থানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছেন উলাট গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. কাদের, মন্টু শেখ ওরফে বাউল মন্টু ও মঞ্জু শেখ ছুটুসহ কয়েকজন যুবক।
এর মধ্যে গতকাল বুধবার রাতে উলাট মাদ্রাসা মাঠে ইয়াবা বিক্রির সময় মাদক বিক্রেতাদের বাধা দেন রেন্টু। এ সময় রেন্টুর ওপর চড়াও হন মাদক বিক্রেতারা। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দৌড়ে এসে কাদের, মন্টু ও মঞ্জু মিলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আমিরুল হক রেন্টু ও রতন মোল্লাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এ সময় রেন্টুর চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে মাদক বিক্রেতা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে স্থানীয়রা রতন মোল্লা ও রেন্টুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমাদের পুলিশ সদস্যেরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। সেখানে গেলে মাদক নাকি পূর্ব বিরোধের জের ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে।’
এ ব্যাপারে পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সুজানগর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।