ময়মনসিংহে বৃদ্ধকে হত্যা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় বালু নেওয়াকে কেন্দ্র করে আবদুল কাদির মণ্ডল (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার স্বদেশী ইউনিয়নের ইটাখোলা নামক স্থান থেকে গতকাল বুধবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার স্বদেশী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জিহাদ সিদ্দিকি ইরাদ, তাঁর সহযোগী সোহেল মিয়া ও শাহজাদা মিয়া।
এ ঘটনায় নিহত আবদুল কাদিরের ছেলে ফরিদ বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে হালুয়াঘাট থানায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের নামে একটি মামলা করেছিলেন। মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হালুয়াঘাট সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে রাতেই ওই তিনজনকে ইটাখোলা নামক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কংশ নদ থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলিত বালু আনতে লোক পাঠান স্বদেশী ইউপির চেয়ারম্যান জিহাদ সিদ্দিকি ইরাদ। কিন্তু উত্তোলিত বালু আবদুল কাদিরের জমিতে থাকায় বালু নিতে বাধা দেন তাঁর স্বজনরা। এ খবর শুনে ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ সিদ্দিকি ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে আবদুল কাদিরের ওপর হামলা চালায় ও কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় আবদুল কাদিরের।
হালুয়াঘাট থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নামে পুলিশের ওপর হামলা, মাদক, হত্যা মামলাসহ হালুয়াঘাট থানায় সাতটি মামলা ও চারটি জিডি রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।