রাজশাহীতে পৃথক দুর্ঘটনায় বাসচাপায় বাবা-ছেলেসহ ৩ জন নিহত

রাজশাহীতে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ তিন জন নিহত হয়েছে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী বিজয়নগর বাসলিতলা নামক স্থানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী একটি বিআরটিসির বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলের ওপরে উঠে গেলে বাবা ও ছেলে দুজনেই নিহত হয়।
নিহতেরা হলো—সাজু মিয়া (৪০) এবং তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ আলিফ (১২)। নিহত সাজু মিয়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দীপশিখা’র গোদাগাড়ী বিজয়নগর শাখায় কর্মরত ছিলেন।
নিহত আব্দুল্লাহ আলিফ রাজাবাড়ী হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাজু মিয়া। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি বিআরটিসির বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে গাছের সঙ্গে আটকে যায়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা বাবা ছেলে দুজনেই ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সাজু মিয়া ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় বিআরটিসির বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে বাবা-ছেলে দুজনে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকার ওয়াসা ভবনের সামনে বাসচাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নিহত ব্যক্তি তানোর উপজেলার বিল্লী বাজার এলাকার বাসিন্দা গ্রাম্যচিকিৎসক মো. নাজমুল। বিল্লি বাজারে তাঁর ওষুধের দোকান ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চাপা দেওয়া বাসটিসহ চালক পালিয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল নওদাপাড়ার দিক থেকে রাজশাহী নগরীতে আসছিল। অপরদিকে, নগরী থেকে একটি বাস নওগাঁর দিকে যাচ্ছিল। পথে শালবাগান ওয়াসা অফিসের সামনে বাসটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালকের মাথা বিচ্ছিন্ন এবং নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন নাজমুল।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।