সাগরে ইলিশ ধরতে গিয়ে দশ দিন ধরে নিখোঁজ ১৪ জেলে

বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণ করতে গিয়ে ১০ দিন ধরে ১৪ জন জেলেসহ নিখোঁজ রয়েছে এফবি মা-বাবার দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার। নিখোঁজ ট্রলারটি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর এলাকার আড়তদার মো. কবির হোসেন ওরফে হুমায়ুন কবিরের।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রলার মালিক কবির জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে রাজৈর থেকে ট্রলারটি ১৪ জন জেলেসহ সাগরে যায়। ওই দিন একইসঙ্গে শরণখোলার আরও বেশ কয়েকটি ট্রলার রওনা হয়। মাছ ধরে সাত থেকে আট দিনের মধ্যে ঘাটে ফিরে আসার কথা ছিল। অন্যসব ট্রলার ফিরে এলেও তাঁর ট্রলারটি ফিরে আসেনি। নির্ধারিত সময়ের পরে তিন দিন পার হতে চলেছে। একইসঙ্গে যেসব ট্রলার গিয়েছিল তা গত মঙ্গলবার ও বুধবারের মধ্যে ঘাটে ফিরেছে।
ট্রলারটির কোনো সন্ধান না পেয়ে এরই মধ্যে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মৎস্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়েছেন। ট্রলারটি কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে কি না তাও সঠিক বলতে পারছেন না।
ওই ট্রলারের মাঝির নাম মঞ্জু মিয়া। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীতে। অন্য জেলেদের কয়েকজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ও শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ট্রলারটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ৭৪৫৫। কেউ ট্রলারটির সন্ধান পেলে ০১৭১৬০৫৬২০৮ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন ট্রলার মালিক কবির আড়তদার।
এফবি কামাল ট্রলারের মাঝি সিরাজ মিয়া ও ছগির হাওলাদারের এফবি আল্লাহর দান তোফা ট্রলারের মাঝি ইলিয়াস হোসেন জানান, মা-বাবার দোয়াসহ তাঁরা ওইদিন একই সঙ্গে ১০ থেকে ১২টি ট্রলার ঘাট থেকে ছেড়ে যান। সুন্দরবনের দুবলারচর থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে সাগরের মধ্যে তারা যে যার মতো জাল ফেলে মাছ ধরেন। সাত থেকে আট দিনের মধ্যেই সবাই ফিরেছে। কিন্তু ওই ট্রলারটি কোথাও দেখেননি তাঁরা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘ফিশিং ট্রলার নিখোঁজের বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’