সাবেক স্বামীর সহায়তায় বর্তমান স্বামীকে হত্যা

ময়মনসিংহে সাবেক স্বামীর সহায়তায় বর্তমান স্বামীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগে নিহত আশিকের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা ও জাকিয়ার সাবেক স্বামী রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শুভ ঘোষের আদালতে আসামি রাকিবুল ইসলাম রুবেলকে নেওয়া হলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দুই বছর আগে শহরের কেওয়াটখালী এলাকার আশিক ইমরান (২১) পরিবারকে না জানিয়ে একই এলাকার জাকিয়া সুলতানাকে (২৫) বিয়ে করেন। এরপর আশিক জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীর আগের স্বামী ও সন্তান রয়েছে। এরপর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। আশিক জাকিয়াকে স্ত্রী হিসেবে মেনে না নিয়ে অবজ্ঞা করতে থাকে। ফলে জাকিয়া তাঁর বাবার বাড়িতেই বসবাস করছিলেন।
আশিকের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় জাকিয়ার যোগাযোগ হয় সাবেক স্বামী রুবেল মিয়ার সঙ্গে। সাবেক স্বামী রুবেলকে আবারও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জাকিয়া। জাকিয়ার প্রতি বর্তমান স্বামী আশিকের অবজ্ঞার প্রতিশোধ নিতে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে জাকিয়া আশিককে ফোন করে ডেকে নেন।
এরপর থেকে আশিককে আর খুঁজে পাওয়া যায় না বলে তাঁর পরিবারের লোকজন জানায়।
পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে কেওয়াটখালী রেললাইনের পাশে আশিকের গলাকাটা মরদেহ খুঁজে পান তাঁর বাবা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতেই নিহত আশিকের বাবা আলাল উদ্দিন বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরের দিন গতকাল বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে আশিকের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানাকে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে নগরীর বলাশপুর থেকে গ্রেপ্তার হন জাকিয়া সুলতানার সাবেক স্বামী রাকিবুল ইসলাম রুবেল।
কোতোয়ালি মডেল থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পরে নগরীর কেওয়াটখালি এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু জব্দ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।