সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র : মার্কির রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, ‘সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়। এটা সারাবিশ্বের সম্পদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ও সুন্দরবন রক্ষায় বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার মোংলার জয়মনিরঘোল এলাকায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি জয়মনিরঘোলে ‘টাইগার টিমের’ বাঘ তাড়ানো কার্যক্রম দেখেন। এছাড়া ওয়াইল্ড টিম, টাইগার টিম, ইউএসআইডি ও সিএমসি সংগঠনের সাথে বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, ‘আমি জীবনে প্রথম সুন্দরবনে এসে আড়াই দিন থাকলাম। এটা আমার জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এই সফরে আমি দেখলাম, সুন্দরবন এবং তার জীব বৈচিত্র্য বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষায় সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ অন্যান্য অনেক সংস্থা কাজ করে চলেছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষও সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ও সুন্দরবন রক্ষায় বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রকল্পে ফান্ড দিচ্ছে। বর্তমান সরকার বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবন ও পরিবেশ রক্ষায় খুব আন্তরিক।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা আপনাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে আশাব্যাঞ্জক। সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ডলফিন, চিত্রা হরিণসহ যে সমস্ত দূর্লভ প্রাণী রয়েছে তাদের রক্ষা করার জন্যে সবারই কাজ করা উচিত।’
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পরিচালক ডার্ক ব্রাউন, ওয়াইর্ল্ড টিমের অধ্যাপক আসাবুল ইসলাম, মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী।
গত ২৬ জানুয়ারি হেলিকপ্টারে মোংলায় যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। আড়াইদিন ধরে বিলাসবহুল লঞ্চে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখেন তিনি।