সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া এনআইডি সংশোধনের আবেদন বাতিল না করতে নির্দেশ

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া বাতিল না করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নাগরিক সেবা সহজ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে এ নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
সম্প্রতি এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নাগরিক সেবা সহজ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন ‘ক, খ, গ’ ক্যাটাগরিতে বিভাজনের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (আদর্শ পরিচালন পদ্ধতি) অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন সভার সিদ্ধান্ত এবং পরিপত্রে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মাঠ পর্যায়ে ‘ক, খ, ও গ’ ক্যাটাগরির আবেদনসমূহের নিষ্পত্তির হার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না পৌঁছানোয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, অনেক আবেদন দীর্ঘদিন যাবৎ অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। এমনকি আবেদনের শ্রেণি বিভাজন না করেও রেখে দেওয়া হয়েছে। এতে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তাদের- ১০টি অঞ্চল থেকে ক্যাটাগরি বিভাজন বা অ্যাসাইন হওয়ার পর নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তাগণকে শুধু তার আওতাভুক্ত আবেদনসমূহ নিষ্পত্তি (অনুমোদন/আংশিক অনুমোদন/বাতিল) করতে হবে; দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার আওতাভুক্ত আবেদনসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপারগ হলে আবেদনসমূহ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম (যথাযথ দলিলাদি সংযোজন ও যাচাই এবং তদন্ত/শুনানি গ্রহণ) সম্পন্ন করে পরবর্তী ধাপে প্রেরণ করতে হবে; মাঠ পর্যায়ে তদন্ত না হলে অথবা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কোনো আবেদন বাতিল করা যাবে না।
এ ছাড়া কোনো আবেদন বাতিলের ক্ষেত্রে সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে; সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হবে; জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত (সংশোধন, যাচাই এবং সরবরাহ) প্রবিধানমালা, ২০১৪ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাঠ পর্যায়ে প্রায় চার লাখের মতো আবেদন কর্মকর্তাদের টেবিলে পড়ে রয়েছে। এগুলো আগামী জুনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এজন্য এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন।