‘৩০ নভেম্বরের সমাবেশে কাফনের কাপড় পরে মাঠে থাকবে বিএনপি’

৩০ নভেম্বরের সমাবেশ সফল করতে প্রয়োজনে কাফনের কাপড় পরে মাঠে থাকবে নেতাকর্মীরা উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। এভার কেয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন। নেত্রীর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য দলের পক্ষ থেকে এবং তাঁর পরিবার পক্ষ থেকে বার বার বলা হলেও সরকার কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। বরং বেগম জিয়ার অসুস্থতাকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করছে।’
আজ শনিবার দুপুরে আগামী ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভাগীয় সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে কেডিঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মঞ্জু এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঞ্জু বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা, আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে শুধু নয়, তাকে জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। মিথ্যা বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে পরিত্যক্ত কারাগারে রেখে খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। হাসপাতালে রেখেও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় আজ দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। নেত্রীর মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কর্মসূচি সফল করতে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে বাধ্য করা হবে।’
মঞ্জু গত ২২ নভেম্বর বিএনপির মানবিক কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা, সিনিয়র নেতাকর্মীসহ শতাধিক নেতাকর্মীর ওপরে পুলিশের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আগামী ৩০ নভেম্বরের সমাবেশ হবে শতভাগ শান্তিপূর্ণ।’
পুলিশ প্রশাসনকে সমাবেশ সফল করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘দলের প্রধানের চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে ৩০ নভেম্বরের সমাবেশ সফল করতে প্রয়োজনে কাফনের কাপড় পরে মাঠে থাকবে বিএনপির নেতাকর্মীরা।’
সাবেক সাংসদ মঞ্জু দলের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারকে রাজনীতি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে অবিলম্বে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানান।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, আবু সাইদ শেখ, শরিফুল ইসলাম বাবু, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন, ডা. ফারুক হোসেন, শামীম আশরাফ, শাকিল আহমেদ, শফিকুল ইসলাম শফি, শাহাবুদ্দিন, আবু তালেব, শামীম খান, এম এ হাসান, টিপু মুন্সি, কবির হোসেন প্রমুখ।