সাঁথিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আ. লীগের সম্পাদকসহ দুজন গুলিবিদ্ধ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা নিয়ে আজ রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সান (৫০) ও পথচারী মারুফা খাতুন (২৩) গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ১০ জন।
আহতদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাঁরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম (৫০) ও কনস্টেবল সোহাগ মাহমুদ (৩০)। অন্য ছয়জনের নাম জানা যায়নি। আহতদের সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদ্য শেষ হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মিরাজুল ইসলাম মিরাজ পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। নির্বাচনের দিন সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মেয়র মিরাজকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা করেন তপন হায়দার। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মিরাজের সমর্থক পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মীরা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেন।
মামলা ও আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে আজ দুপুর ১টার দিকে দুই পক্ষের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পৌর সদরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সান ও পথচারী মারুফা খাতুন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ রবিউল করিম হিরু বলেন, পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে আজ রোববার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সানের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাড়ি থেকে মিছিলে ইটপাটকেল এবং গুলি ছোড়া হয়। এ সময় পথচারী মারুফা আহত হন। এ ছাড়া জনতা পাল্টা প্রতিরোধ গড়লে সান সামান্য আহত হয়। তবে তাঁর গুলি লাগেনি বলে দাবি করেন রবিউল।
পাল্টা অভিযোগ করে তপন হায়দার সান সাংবাদিকদের বলেন, মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়ির ওপর হামলা ও গুলি করা হয়েছে। এতে তাঁর পায়ে গুলি লাগে এবং তাঁর লোকজন আহত হয়।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলেও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।