নিরাপত্তা প্রত্যাহার, শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের উদ্বেগ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যান্দি এলাকার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল থেকে শ্যামল কান্তির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পুলিশ প্রহরা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সকালে স্কুলে যেতে পারেননি প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত।
শ্যামল কান্তি ভক্ত জানান, তিনি নগরীর খানপুর এলাকায় সপরিবারে বসবাস করেন। লাঞ্ছিতের ঘটনার পর থেকে প্রায় ছয় মাস ধরে সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরা থাকত। প্রতিদিন পুলিশ সদস্যরা তাঁকে প্রহরা দিয়ে স্কুলে আনা নেওয়া করত। আজ সকালে তাঁকে না জানিয়েই তাঁর বাসা থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরে তিনি পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার তাঁকে আশ্বস্ত করেন। এরপরও তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন বলে জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন)মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘একটি বিশেষ পরিস্থিতির কারণে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে এ পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তেমন কোনো ঝুঁকি আছে বলে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় পোশাকধারী পুলিশ তুলে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন,‘থানাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া আছে।আর যারা সিভিল ডিউটি করে তাদের ওই শিক্ষকের চলাফেরা ও অন্যান্য বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি প্রয়োজন মনে করলে তাঁকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।’
গত বছরের ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ধর্মীয় অবমাননাকর কটূক্তির অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে কান ধরে উঠ-বস করানো হয়। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সারাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।