মোংলায় ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

মোংলায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মজুদ ও বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক ওষুধ দোকানিকে জরিমানা করার প্রতিবাদে ওষুধ ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলে। বুধবার দুপুরের পর থেকে ব্যবসায়ীরা নিজ থেকেই তাদের দোকানপাট খুলতে শুরু করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিম উদ্দিন ও শিফাত উদ্দিনের নেতৃত্বে মোংলা পৌর শহরের শেখ আবদুল হাই সড়কের আল হেলাল ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ কয়েক কার্টন বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও মজুদের দায়ে ওই দোকানদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযান পরিচালনা পরে ওষুধ দোকানিকে জরিমানা করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মোংলা শাখার নেতারা বিকেলে দ্রুত বৈঠকে বসেন। তাঁরা সব দোকানপাট বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে অর্ধশতাধিক দোকানপাট বন্ধ রেখে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করেন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে শিশু-বৃদ্ধসহ সাধারণ রোগীরা।
এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হোলসিম সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামালের বর্জ্য নদীতে ফেলে পরিবেশ দুষণ করায় ৫০ হাজার টাকা, খাদ্যে ভেজাল দেওয়ায় বরিশাল বেকারিকে ৫০ হাজার টাকা ও নোংরা পরিবেশে খাবার বিক্রির দায়ে সাগরিকা হোটেলকে পাঁচ হাজার টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও মজুদের দায়ে আল হেলাল ফার্মেসিকে এক লাখ টাকা, যমুনা এলপিজি কারখানায় মেয়াদ উত্তীর্ণ সিলিন্ডার রাখার দায়ে তাদের আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভোক্তা অধিকার আইনে চলমান এ অভিযান হোটেল-মোটেল, বেকারি, শিল্প কলকারখানা, কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, মাংস বাজার, মুদি দোকান ও প্যাথলজিসহ সব স্থানে অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভোক্তা সাধারণ। দুই সপ্তাহ ধরে চলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
এদিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন বিশ্বাস।