এবার সুন্দরবনে ১৯টি মৃত কুমিরের বাচ্চা উদ্ধার

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে এবার ১৯টি কুমিরের বাচ্চার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাচ্চাগুলোর মৃত শরীর ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়েছিল। গতকাল রোববার কুমিরের বাচ্চাগুলোর দেহের খণ্ডিত অংশ পেয়েছে বনবিভাগ।
বন বিভাগের দাবি কোনো হিংস্র প্রাণির হামলায় এসব কুমিরের বাচ্চা মারা পড়েছে।
এদিকে গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে মোট ৪৩টি কুমিরের বাচ্চা হারিয়ে যায়। ওই সব বাচ্চার কোনো খোঁজ এখনো পায়নি বনবিভাগ।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে বলে জানা যায়। এরইমধ্যে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক কর্মচারীকে বরখাস্ত ও অপর আরেক কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন বিভাগ। এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির জানান, কুমির প্যানে (কৃত্রিম পুকুর) থাকা বাচ্চাগুলো রুটিন মাফিক দেখভালের সময় একটি প্যানে ১৬টি ও আরেকটি প্যানে তিনটি কুমির মৃত দেখা যায়। এগুলো প্যানের পাশের দিকে বিছিন্নভাবে ছড়ানো ছিটানো ছিল। প্রাথমিকভাবে মৃত কুমিরের বাচ্চাগুলোর গাড়ে কামড় ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হিংস্র বন্যপ্রাণী আক্রমণ চালিয়ে এ বাচ্চাগুলো হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি।
এদিকে কুমির প্রজনন কেন্দ্রে বন বিভাগের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপদ ও প্যানের দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্য প্যানে থাকা ২১৫টি কুমির বাচ্চা। রাতেই ওই প্যান এলাকায় ২০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানায় বন বিভাগ। আগের ৪৩টি কুমির বাচ্চা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় খুলনার দাকোপ থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানান, দুপুরে বন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম তাঁকে করমজল থেকে ফোন করে জানিয়েছেন আরো ১৯টি কুমিরের বাচ্চা বন্যপ্রাণী খেয়ে ফেলেছে। এগুলোর ছিন্নভিন্ন শরীর করমজলে পড়ে আছে।
১৯টি কুমির মারা পড়ার ঘটনায় রোববার বিকেলে করমজল পর্যটনকেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান দাকোপ থানায় আরো একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানা যায়।
তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ও সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদীজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।