চোরাই মোটরসাইকেলসহ দুই পুলিশ সদস্য আটক
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/04/11/photo-1491924931.jpg)
বান্দরবানে পুলিশের দুই কনস্টেবলসহ চার ব্যক্তিকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল তাপস (২৬) ও ইমন (২৬) এবং জনী চৌধুরী (২৩) ও জুয়েল ধর (২৪)। তাঁদের নামে সদর থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি গ্লামার ও একটি পালসার চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও আটক ব্যক্তিদের প্যান্টের পকেট থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট, সাতটি মোটরসাইকেল চুরি ও বিক্রির কাগজপত্র পাওয়া গেছে। তবে মোটরসাইকেল চোরদের মূল হোতা হিসেবে পরিচিত মো. মজনুসহ সিন্ডিকেটের আরো কয়েক সদস্য গত রাতে বান্দরবান থেকে পালিয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে চলাচল সন্দেহজনক হওয়ায় বান্দরবান জেলা শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে স্থানীয় লোকজন পুলিশ কনস্টেবল তাপসসহ মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের আরেক সদস্যকে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা পুলিশে খবর দিলে তাঁদের দুজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে থানায় আটক দুজনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট ও হাটহাজারী উপজেলা থেকে আরো দুজনকে আটক করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল আলীম ও মো. রাজীব বলেন, পুলিশ কনস্টেবলসহ আরেকজনের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁদের ধরে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। এ ঘটনায় পুলিশ সেখানে গিয়ে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ওই দুজনের থেকে তথ্যের ভিত্তিতে বাকি দুজনকে আটক করা হয়। তাঁরা সবাই মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে যুক্ত।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক উল্লাহ জানান, চোরাই মোটরসাইকেলসহ স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।
ওসির ভাষ্য, আটক দুই কনস্টেবল চোরদের সোর্স হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁরা চুরির সঙ্গে যুক্ত নন। জিজ্ঞাসাবাদে আটক মোটরসাইকেল চোরদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির দাবি, আটক চারজনই মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের উপস্থিতিতে থানায় জিজ্ঞাসাবাদে চারজন চুরির ঘটনা স্বীকার করেছেন। পুলিশ এখন কনস্টেবলদের বাঁচাতে চাইছে।