সিলেটে জাতীয় পার্টির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সিলেট সার্কিট হাউসে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সার্কিট হাউসেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

সিলেট কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার সাজ্জাদুল আলম জানান,সার্কিট হাউসের সামনে জাতীয় পার্টির দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ২২টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সেখান থেকে দলের ১৮ জন নেতা-কর্মীকেও আটক করা হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সিলেটের ধোপাদীঘির পাড়ে জেলা জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিল ছিল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। 

ইফতারের আগে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়ার পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে জিয়াউদ্দিন বাবলুর হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষ শান্ত হয়।

ইফতারের পর জিয়াউদ্দিন বাবলু সার্কিট হাউসে অবস্থান করছেন- এমন ধারণা করে আবদুল্লাহর নেতা-কর্মীরা সেখানে জড়ো হন। রাত ৮টার দিকে এহিয়া তাঁর অনুসারীদের নিয়ে সেখানে যাওয়ার পর উভয় পক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়।

একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এ ছাড়া সার্কিট হাউসেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া জানান,তাঁর অনুসারী জেলা জাপা নেতা রফিকুল আলম লালুকে সার্কিট হাউসে আবদুল্লাহ সিদ্দিকীর অনুসারী জেলা জাপা নেতা বাছির আহমদকে মারধর করেছেন এমন খবরে নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হয়। পরে তিনিও ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে আবদুল্লাহ সিদ্দিকীর অনুসারীরা সাধারণ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি গুলি হয়েছে বলে জানালেও কে বা কারা গুলি করেছে,তা তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেন এহিয়া।

এদিকে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন,‘ইয়াহইয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি চালায় এবং সার্কিট হাউসে ব্যাপক ভাঙচুর করে।’ এ সময় জিয়াউদ্দিন বাবলুকে নিয়ে তিনি হজরত শাহজালার (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করছিলেন বলেও জানান আবদুল্লাহ।