অতিবৃষ্টিতে পিছিয়ে যেতে পারে আমন আবাদ
অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সময়মতো বীজতলা তৈরি ও বীজ ফেলতে না পারায় নেত্রকোনা জেলায় এবার আমন আবাদ পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,চলতি আমন মওসুমে নেত্রকোনা জেলায় এক লাখ ছয় হাজার ৪৬৪ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য সাত হাজার হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ১৫ দিন ধরে অবিরাম হালকা ও ভারি বর্ষণের কারণে কৃষকরা বীজতলার জমি তৈরি করতে পারছে না। কোনো কোনো এলাকায় বীজতলার জমি অতিবৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে।
নেত্রকোনা কৃষি উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিলাস চন্দ্র পাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, জুলাই মাসের মধ্যে সাধারণত আমন ধানের বীজতলা ফেলতে হয়। এবার কিছুটা পিছিয়ে যাবে। উঁচু জমিতে বীজতলা তৈরি ও বীজ ফেলার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়,অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে তারা বীজতলা তৈরি ও জমিতে বীজ ফেলতে সমস্যার সন্মুখীন হচ্ছে। যেখানে সাত হাজার হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি ও বীজ ফেলার কথা,সেখানে গত রবিবার পর্যন্ত মাত্র ৯০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি ও বীজ ফেলা হয়েছে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন বীজ ধানের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বীজতলা তৈরির জন্য বিআর-৩২ জাতের প্রয়োজনীয় আমনের বীজ ধান পাচ্ছে না।
এ সুযোগে বীজ ডিলাররা কৃষকদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বীজধান বিক্রি করছে।
কৃষি বিভাগ চলতি মওসুমে নেত্রকোনা জেলায় এক হাজার ৬১৪ টন আমন বীজের চাহিদাপত্র তৈরি করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন-(বিএডিসি-বীজ) বিভাগকে দ্রুত বীজধান সরবরাহ করার জন্য চিঠি দিলেও বীজ বিভাগ থেকে মাত্র ৯০০ টন আমন বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।
আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতীর আরজু মিয়া,রামপুরের নজরুল,মদনপুরের সারোয়ার, চল্লিশা ইউনিয়নের গিয়াস মিয়া,শামীম আহম্মেদ,অনন্তপুরের রফিকুল ইসলাম,জয়নগরের লিটন বলেন, ‘বীজ কার্যালয় ও নির্ধারিত বীজ ডিলারদের কাছে ধরনা দিয়েও প্রয়োজনীয় বীজ কিনতে না পেরে অধিক মূল্যে বাজারের দোকান ও ডিলারদের কাছ থেকে বীজ ধান কিনতে হচ্ছে আমাদের।’ তাঁরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।