‘জঙ্গি’ রাশেদ ৬ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার সঙ্গে জড়িত ও নব্য জেএমবির অন্যতম নেতা রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশকে ছয় দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম নূর নাহার ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কাউন্টার টেররিজমের পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির আসামি রাশেদকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আজ হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে বিচারক আসামির ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাশেদকে গতকাল শুক্রবার নাটোর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এই মামলার তদন্তকাজ এখন প্রায় শেষপর্যায়ে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
আজ দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদ ওরফে র্যাশ জানান, ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও মূল সমন্বয়কারী তামিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি। এই হামলায় অস্ত্র সরবরাহ এবং হামলায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেন তিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘হলি আর্টিজানে হামলার আগে কীভাবে গ্রেনেড ছুড়তে হয় তা শেখাতে কয়েকজন জঙ্গিকে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেন আসলাম। প্রশিক্ষণের সময় রোহান ইমতিয়াজ নামের এক জঙ্গি স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন। এ ছাড়া আসলাম এই হামলার ঘটনাস্থল রেকি করা, হামলার জন্য বসুন্ধরা এলাকায় বাসা ভাড়া করাসহ অন্যান্য কাজেও সহযোগিতা করে।’
হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজন, নিহত তানভীর কাদরির ছেলে তাহরীম কাদেরির দেওয়া তথ্য এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মনিরুল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসলাম ওরফে র্যাশ গুলশান হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেন মনিরুল ইসলাম। তিনি হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পরবর্তী সময়ে নব্য জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) বিস্তারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।