মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় সাবেক এমপি মোজাম্মেল

বঙ্গজ-তাল্লু গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও রেডিও টুডের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজি মো. মোজাম্মেল হককে তাঁর মা সরজিনি বেগমের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। আজ বুধবার বাদ আসর চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল ময়দানে জানাজা শেষে তাঁকে স্থানীয় জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজার আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও মরহুমের বড় ছেলে রফিকুল হক মুন্নু সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তাঁরা বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বলে মন্তব্য করেন।
জানাজায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক বিজিএমই নেতা মাহমুদ হাসান খান বাবু, ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, আবদুল জব্বার সোনা ও মজিবুল হক মজু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
জানাজার আগে টাউন ফুটবল মাঠে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবসহ সর্বস্তরের মানুষ মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাজি মো. মোজাম্মেল হক (৮৬) গত ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
আজ সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মোজাম্মেল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। চিফ হুইপ ও হুইপদের পক্ষে হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে তাঁর সহকারী একান্ত সচিব আবদুর রহিম ভূইয়া, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
জানাজায় সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সর্বস্তরের নাগরিক, রাজনৈতিক সহকর্মী, গুণগ্রাহী, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শরিক হন।