‘দুদকের সিদ্ধান্ত দুদকই নেবে’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান তাই প্রধান বিচারপতি বা অন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত দুদক নিজেদের মতো করেই নেবে।’
আজ রোববার নিজ কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইকবাল মাহমুদ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগগুলো নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক তদন্ত করবে কি না, এমন প্রশ্নে জবাবে স্পষ্ট করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। তবে সিদ্ধান্ত হলে সবাই জানবে বলে জানান ইকবাল মাহমুদ।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুদক একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। দুদকের সিদ্ধান্ত দুদকই নেবে। যেকোনো বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্তে আমরা খুবই স্বচ্ছ। যখনই কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে আপনারা জেনেছেন।’
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, অর্থপাচারসহ ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছাড়া আপিল বিভাগের অন্য পাঁচ বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাসভবন বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানান। বিচারপতি ইমান আলী বিদেশে থাকায় অন্য চার বিচারপতি বঙ্গভবনে যান। তাঁরা হলেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। সাক্ষাৎকালে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ ১১টি অভিযোগের দালিলিক তথ্যাদি চার বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রপতি।
গত ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি। গত ১০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি বিদেশে অবস্থানের জন্য অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে একটি চিঠি দেন। এতে তিনি ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বাইরে থাকার কথা উল্লেখ করেন।