‘সরকার শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে শিক্ষাক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যত ভালো কাজ হয়েছে অন্য কোনো দলের সরকারের সময় তা হয়নি। তিনি আরো বলেন, সরকার শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার নওগাঁয় জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মোস্তাফিজুর রহমান। নওগাঁ জিলা স্কুল মাঠে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা জানি দেশের উন্নয়নে শিক্ষার অগ্রগতির কোনো বিকল্প নাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘সেই উপলব্ধি থেকে জাতীয় বাজেটেও শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এ থেকেই বুঝতে হবে শিক্ষা এবং শিক্ষকদের প্রতি সরকার কতটা আন্তরিক।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘শিক্ষার মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে নিয়ে যেতে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতার কোনো ঘাটতি নেই।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘১৯৮৬ সালে একজন সহকারী শিক্ষক মোট বেতন পেতেন সর্বোচ্চ সাড়ে চার হাজার টাকা। বর্তমানে একজন সহকারী শিক্ষক সর্বসাকল্যে বেতন পাচ্ছেন ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজার টাকা। একজন প্রধান শিক্ষক বেতন পাচ্ছেন ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রের সক্ষমতা না থাকলেও শুধুমাত্র শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে সক্ষম করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে তাঁদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শহিদুজ্জামান সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মো. আবদুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মো. আবুল খায়ের, পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট মো. ফায়জুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. বদরুজ্জেহা, প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন।
অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলা থেকে সকল প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।