মামলা প্রত্যাহারসহ ৪ দাবিতে বান্দরবানে জেএসএসের মিছিল
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/11/23/photo-1511449238.jpg)
বান্দরবানে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার বন্ধসহ চার দফা দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) নেতারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। একই দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মধ্যমপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন জেএসএস নেতাকর্মীরা।
সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিকের কাছে স্মারকলিপির কপি তুলে দেন জেএসএসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা। এ সময় অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমীন আক্তার, জেএসএসের কেন্দ্রীয় নেতা সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন, জেলা সভাপতি উছোমং মারমা, সাংগঠনিক সম্পাদক শম্ভু কুমার নাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেএসএসের দাবিগুলো হচ্ছে- পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্য সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের অচিরেই বন্ধ করা এবং দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা; এসব হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার বন্ধ করা এবং গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া; সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের অনুকূল পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে যে কোনো ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং চুক্তির অবাস্তবায়িত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা।
জেএসএসের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক কে এস মং মারমা জানান, ‘জেএসএস ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। একটি মামলায় জামিন পেয়ে বের হওয়ার পর আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কখনোই ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারে না। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি দিয়ে বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এদিকে স্থানীয় রাজার মাঠে জেলা শ্রমিক লীগের সম্মেলন এবং জনসংহতি সমিতির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বান্দরবানে মধ্যমপাড়াস্থ জেএসএস কার্যালয়, রাজার মাঠ, ডিসি অফিস, ক্যায়াং মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। জোরদার করা হয়েছে টহলও।