চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবিতে জেএসএসের মিছিল-সমাবেশ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/12/02/photo-1512234799.jpg)
পার্বত্য চুক্তির দুই দশক পূর্তিতে তা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবিতে বান্দরবানে মিছিল-সমাবেশ করেছে জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মীরা। আজ শনিবার বিকেলে বান্দরবানের পুরাতন রাজবাড়ী মাঠ থেকে জনসংহতি সমিতিসহ (জেএসএস) সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেখানে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা। অন্যদের মধ্যে জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় ভূমি বিষয়ক সম্পাদক চিংহ্লামং চাক, জেলা জেএসএস সভাপতি উছোমং মারমা, মহিলা সমিতির সভাপতি ওয়াইচিংপ্রু মারমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিকে সমাবেশে বান্দরবানের সাত উপজেলা থেকে আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতিসহ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা অংশ নেন। জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেন বলে অভিযোগ করেছেন জেএসএস নেতারা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এস মং মারমা বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে বান্দরবানে জনসংহতি সমিতিসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অপহরণ, চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগে পাঁচটি মামলায় জেএসএসের শীর্ষ নেতাসহ সমর্থকদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। তিন পার্বত্য জেলায় এমপি (সংসদ সদস্য) নির্ভর রাজনীতি চলছে। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যরাই চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করছেন। চুক্তি বাস্তবায়নের নামে চুক্তি বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে সরকার।
কে এস মং মারমা আরো বলেন, ‘পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধন হয়েছে, এটি জনসংহতি সমিতির ১৭ বছরের আন্দোলনের ফসল। কিন্তু আইন সংশোধন হলেও ভূমি কমিশন আইন কার্যকর করতে যে বিধিমালা প্রণয়ন করা দরকার, সেটি এখনো করা হয়নি। সরকারের ইচ্ছাতেই ধীরগতিতে এগুচ্ছে ভূমি কমিশন। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
জেলা জেএসএসের সভাপতি উছোমং মারমা বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো আজও বাস্তবায়িত হয়নি। দীর্ঘ নয় বছর ধরে চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির কোনো সভা হচ্ছে না। চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের কার্যকর কোনো প্রদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো ক্ষমতাসীন দল চুক্তিবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে জনসংহতি সমিতির নেতাদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনসংহতি সমিতির আন্দোলন সংগ্রামে বাধা দেওয়া হচ্ছে।