দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর হবে বাংলাদেশে

সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (সারসো) ও বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)—এ দুটি সংস্থার সদর দপ্তর হবে বাংলাদেশে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে প্রস্তাব আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় মন্ত্রিসভার সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ে প্রস্তাব ছাড়াও আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর করতে হলে ওই দেশের মন্ত্রিসভার অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সদর দপ্তর হচ্ছে। এ বিষয়ে দুটি প্রস্তাব উত্থাপন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব দুটি অনুমোদন হয়।
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের একটি বিশেষ অঙ্গসংগঠন সারসো। ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের মান যাচাই করাই এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। আর বিমসটেক হলো দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ নিয়ে গঠিত সহযোগিতা সংস্থা। বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভুটান ও নেপাল এ সংগঠনের সদস্য।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন আইন, ২০১৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (সংশোধন আইন-২০১৫) নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইন দুটি পুরোনো হলেও এর সংশোধনে চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সংস্থা দুটির পরিচালনা পর্ষদে সরকারের প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরই মধ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত মোটরস ভেহিক্যাল অ্যাগ্রিমেন্ট ফর দ্য রেগুলেশন অব প্যাসেঞ্জার্স (পার্সোনাল অ্যান্ড কার্গো ভেহিকুলার ট্রাফিক বিটউইন বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল) নামে চারদেশীয় সড়ক যোগাযোগের প্রস্তাবে অনুসমর্থন (রেকটিফিকেশন) দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, গত ৮ জুন মন্ত্রিসভায় চার দেশের সড়ক যোগাযোগবিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছিল। ১৫ জুন এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আজকে মন্ত্রিসভায় অনুসমর্থন দেওয়া হলো। অক্টোবরে চার দেশের মোটর শোভাযাত্রা হবে। ভারতের ভুবনেশ্বর থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে চট্টগ্রামে শেষ হবে। সেখানে অনুষ্ঠান শেষে শোভাযাত্রাটি আবার ভারতে ফেরত যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (সংশোধন আইন, ২০১৫)-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওঠানো হয়। মন্ত্রিসভা এটি অনুমোদন না করে আরো সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।