যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেলে

একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ঝিনাইদহ সদরের আল হেরা ইসলামী ইনস্টিটিউট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামকে আটক করেছে পুলিশ। অভিভাবক ও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে আটকের পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় বুধবার বিকেলে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে ঝিনাইদহের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
ওসি জানান, ক্লাস নেওয়ার সময় ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে আদর করে থাকেন, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন অভিভাবকসহ এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা ওই শিক্ষককে অফিস কক্ষে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সেখানে যায় এবং পরিস্থিতি শান্ত করে। কিছু সময় পরে পুলিশ সুপারসহ পদস্থ কর্মকর্তারাও হাজির হন। উপস্থিত এলাকাবাসীসহ চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তারা।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুপুর ২টার দিকে ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিদ্যালয়টির প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষক বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের সমাবেশস্থল (অ্যাসেম্বলি) থেকে প্রধান শিক্ষককে ডেকে অফিস কক্ষে নিয়ে মারপিট করেন কয়েকজন অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন। সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ের আলমারিসহ গ্লাস ভাঙচুর করো। খবর পেয়ে পুলিশ আসে এবং প্রধান শিক্ষককে আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির তিন-চারজন ছাত্রী যৌন নিপীড়নের যে অভিযোগ করেছে তার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।